গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলাদেশী উদ্যোক্তা
প্রকাশিত : ১৮:০৪, ৬ জুলাই ২০২২
‘জাতিসংঘ শান্তি কমিশন’ এবং ‘গ্লোবাল ইয়ুথ পার্লামেন্ট’- এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী রানা মাসুদ। ‘ইয়ং এন্টারপ্রিনিয়রশিপ’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত এই উদ্যোক্তা ‘ইনোভেট ইনঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও।
সম্প্রতি, ‘কানেক্টিং দি লিডার: লিডিং দি ওয়ার্ল্ড’ স্লোগানে এবারের ‘গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশীপ সামিট এন্ড এ্যাওয়ার্ড-২০২২’ অনুষ্ঠিত হয় ব্যাংককের রয়্যাল থাই আর্মি ক্লাবে। অনুষ্ঠানটিতে বিশ্বের প্রায় ৩৩টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে। বিভিন্ন পর্যায়ের যাচাই বাছাইয়ের পর সারা বিশ্বের থেকে মাত্র কয়েকজন ইয়ং লিডারকে তাদের বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার এইচ ই ড. কালায়া সফনপানিচ, ইউনাইটেড নেশন পিস কিপারস ফেডারেল কাউন্সিলের (ইউএনপিকেএফসি) প্রেসিডেন্ট এইচ ই ড. আফিনিতা চৈচনা, থাই রাজপরিবারের সদস্য এইচ ই ওয়ানচাই নাওয়ারাত, গ্লোবাল ইয়ুথ পার্লামেন্টের সভাপতি দিওয়াকার আরয়াল প্রমুখ।
রানা মাসুদ রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ‘এশিয়ান ইনিস্টিটিউট অব টেকনোলজি’ (এআইটি) থাইল্যান্ড থেকে ‘টল বিল্ডিং’ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশ এবং দেশের বাইরে, হাই-রাইজ বিল্ডিং, পাওয়ার প্ল্যান্ট, এল পি জি প্ল্যান্ট, জেটি ও এম্ব্যাঙ্কমেন্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে সাস্টেইনেবল এবং গ্রিন-কনসেপ্টের পারফরম্যান্স-ভিত্তিক ইঞ্জিনিয়ারিং সমাধান দিয়ে যাচ্ছেন যা ভূমিকম্প প্রতিরোধী এবং পাশাপাশি একটি সাশ্রয়ী এবং কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করছে।
রানা মাসুদ বলেন, “এই অর্জন আমার কাজের পরিধিকে আরো বিস্তৃতি করতে সহায়তা করবে। ‘টেকসই ও উন্নত বিশ্ব’ বিনির্মাণে ‘থ্রী-ই কন্সেপ্ট’ (ইফিসিয়েন্ট, ইফেক্টিভ এবং ইকনমিকাল সল্যুশন) এবং সাস্টেইনেবল ইঞ্জিনিয়ারিং সল্যুশনকে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই”।
তিনি বর্তমান সরকারের ‘পাওয়ার ও এনার্জি সেক্টরে স্বনির্ভর বাংলাদেশ’ নীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের সরকারি ও বেসরকারি আনুমানিক ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্সি করেছেন। তিনি বাংলাদেশে সর্ব প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে নির্মিত ৫০ মেগা ওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ডিজাইনার ছিলেন।
ইতোমধ্যে তার প্রতিষ্ঠান ‘ইনোভেট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ আফ্রিকা মহাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পূর্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্সি করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন